অগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন মানেই এ দেশের জনগণের কাছে উৎসব সমতুল্য। জনগণই যে দেশের ক্ষমতার মালিক ও উৎস, এই উপলব্ধি সবচেয়ে বেশি অনুমেয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশে যে বিগত কয়েক বছর ধরে নির্বাচনের ধারাবাহিকতা এবং এটাই ক্ষমতার পালাবদলের একমাত্র পথ তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রও আরও সমুন্নত হয়েছে।
নির্বাচনে জয়-পরাজয় অনিবার্য বিষয়, কিন্তু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বিঘ্ন হওয়া মানে সেখানে সামরিক শাসন বা স্বৈরশাসনের পথ খুলে যায়, তার সবচেয়ে জলজ্যান্ত উদাহরণ ১/১১-এর সরকার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের ধারাবাহিকতা খুব জরুরি। সব বাধা ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে গণমানুষের চিরআকাঙ্ক্ষার নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষিত হয়েছে, এর জন্য নির্বাচন কমিশন অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। গ্রামেগঞ্জে হাট-বাজারে এখন সবার মুখে মুখে আলোচনা কোন প্রার্থীকে তারা ভোট দিবে, কারা তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। অর্থাৎ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলার যে চিরাচরিত আমেজ, উৎসব, সেই আমেজ আবার ফিরে এসেছে। এটা গণমানুষের প্রতীক্ষা আর পছন্দের ভোট উৎসব। এই ভোটে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে এটাই সারা দেশের মানুষ আশা করে। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। ভোটের আগে তাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ কষতে কেউ বাকি নেই। পছন্দের দল ও প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কেননা দেশের অগ্রযাত্রা নির্ভর করবে এ ভোটের মাধ্যমে। তাছাড়াও ভোটারদের স্বাধীন ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে এবং গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ও চর্চার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সভাপতির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। এরপর উৎসবের আমেজে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। মূলত যারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে, জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকে, জনআকাঙ্ক্ষা তারাই সবচেয়ে ভালো অনুমান করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :