৯ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটার দিকে কয়রা থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের নিজ বসত ঘর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।মৃতদেহটি পুলিশের সূরাতহাল রিপোর্টের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরগে প্রেরণ প্রেরণের প্রস্তুতি চলছিল । পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির কাজের লোক ফাকু (৪৫)ও প্রতিবেশী রহমান সানার ছেলে আব্দুল্লাহ (২৫)কে থানায় নিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতের বড় ছেলে তাকে বাড়িতে রেখে রবিবার সকালে খুলনার বাসায় গিয়েছিলেন, একদিন পর আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাড়িতে এসে দেখেন তার মায়ের ঘরের গেটে ভিতর থেকে তালা লাগানো। তার মাকে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেন। খবর পেয়ে কয়রা থানার ওসির নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে গ্রিলের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের মধ্যে খাটের উপর টাঙ্গানো মশারির ভিতর থেকে হোসনেয়ারা (৬৫)কে হাত পা বাঁধা গলায় গামছা দিয়ে ফাস লাগানো মৃতবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরের ভিতরের আসবাবপত্র এলোমেলো দেখতে পান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মৃত হোসনেয়ারার অন্য তিন সন্তানের মধ্যে মেজো ছেলে আরাফাত বাবু খুলনার বাড়িতে থাকেন ছোট ছেলে মিলন ও একমাত্র মেয়ে ফ্রান্সে থাকেন।বড় ছেলে তুহিন ও তার মা বাড়িতেই থাকেন। রবিবার সকালে বড় ছেলে তুহিন মাকে বাড়িতে রেখে খুলনায় গিয়েছিলেন।
নিহতের বড় ছেলে তুহিন জানান, খুলনা যাওয়ার একদিন পর অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে ঘরের ভিতর থেকে গ্রিলে তালা লাগানো দেখে পাশে চাচার বাড়িতে যাই সেখান থেকে তাদের ডেকে নিয়ে এসে জানালার গ্রিল দিয়ে দেখতে পাই, ঘরের মধ্যে খাটের উপর মশারির মধ্যে মা শুয়ে আছে বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয় পুলিশের সাথে গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে মায়ের লাশ দেখতে পাই। তুহিনরা তিন ভাই চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিবেশী হাদিউজ্জামান রাসেল হত্যা মামলার আসামি।
কয়রা থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম তরিকুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ##
আপনার মতামত লিখুন :