শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবির কর্মসূচি পেশ


রুদ্রবাংলা প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫, ১৭:০৪ / ১১২
শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবির কর্মসূচি পেশ

জাতীয় ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণে স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠন, শ্রম আইনের অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করে আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর আলোকে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ, কর্মক্ষেত্রে নিহত হলে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, আহতদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা, পুনর্বাসন, সুলভমুল্যে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা, শ্রমিকদের আবাসন, চিকিৎসা, পেনশনসহ ৯ দফা দাবিতে আজ ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার, সকাল ১০টায়, জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ এর কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং চৌধুরী আশিকুল আলম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম খান, স্বপ নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, শাহ মোঃ জাফর, আব্দুল কাদের হাওলাদার, রাজেকুজ্জামান রতন, সাইফুজ্জামান বাদশা, বাদল খান, নইমুল আহসান জুয়েল, সাকিল আক্তার চৌধুরী, শামীম আরা, আহসান হাবিব বুলবুল, ফয়েজ আহমেদ, নুরুল আমিন, আবুল কালাম আজাদ, মেহেদি খান, এনায়েত হোসেন আকন্দ, রজত বিশ্বাস, মোসাররফ হোসেন, কামরুল হাসানসহ স্কপ জেলা ও সেক্টরাল ফেডারেশন, জাতীয় ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মধ্যে মফিজুল ইসলাম মোহন, রফিকুল ইসলাম, আবুল বাসার কহিনুর মাহমুদ, শাহ আলম, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ হেলাল, তোফাজ্জেল হোসেন, সেলিম মাহমুদ, খালেকুজ্জামান লিপন, এস.এম. কাদির, রাহাত আহমেদ, আনোয়ার হোসেন মোসাম্মৎ ডলি, আবু সুফিয়ানসহ ৩৫ জন সেক্টরাল এবং বেসিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

কনভেনশনে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশের সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাথে যুক্ত হয়ে আছে বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের শ্রম। কিন্তু দেশে ও বিদেশে কর্মরত শ্রমিকের শ্রমে ঘামে দেশের উন্নয়ন হলেও তারা বঞ্চিত তাদের অধিকার ও মর্যাদা থেকে। ফলে বঞ্চনা থেকে মুক্তির আশায় তারা বারবার নেমে আসে আন্দোলনের পথে। সে কারনেই এ যাবতকালে সংগঠিত প্রতিটি গণআন্দোলনে সামনের কাতারে থেকেছে শ্রমিক শ্রেণী। তারা জীবন দিয়েছে, নির্যাতন ভোগ করেছে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় সকল খাতের শ্রমিকদের বিপুল অংশগ্রহনে আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হলেও শেষ পর্যন্ত বঞ্চিত থাকে শ্রমজীবীরাই। সে কারনেই জাতীয় ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণে স্থায়ী মজুরী কমিশন গঠন, শ্রম আইনের অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করে আইএলও কনভেনশন ৮৭৫ ৯৮ এর আলোকে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ, কর্মক্ষেত্রে নিহত হলে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, আহতদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা, পুনর্বাসন, সুলভমূল্যে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা, শ্রমিকদের আবাসন, চিকিৎসা, পেনশন এর মত ন্যূনতম দাবিতে শ্রমিকদের এখনও আন্দোলন করতে হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ, বিদ্যুৎ, পানি, ব্যাংক, বীমা, সড়ক পরিবহণ, নৌযান, বেসামরিক বিমান, চা, চাতাল, কৃষি খামার, মৎস্য, হোটেল, পর্যটন, গার্মেন্টস, চামড়া সহ সকল খাতের শ্রমিকদের আন্দোলনের সাধারণ দাবিসমূহ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত কর্মসূচী ঘোষণা করেন-

১) ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, দেশব্যাপী দাবি দিবস পালন এবং সমাবেশ ও মিছিলের মধ্যে দিয়ে কনভেনশন থেকে গৃহীত দাবিনামা কেন্দ্রে শ্রম উপদেষ্টা এবং জেলায় জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শ্রম উপদেষ্টা বরাবর পেশ।

২) দাবিনামা পেশের একমাসের মধ্যে দাবি পূরণে অগ্রগতি দৃশ্যমান না হলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচী পালন করা হবে।

৩) গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, দ্রব্যমূল্যেও উর্দ্ধগতি রোধ, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ কনভেনশন থেকে গৃহীত প্রস্তাবনা নিয়ে বিভাগীয়, জেলা, নগর এবং শিল্পাঞ্চল পর্যায়ে কনভেনশন/ কর্মী সভা/ সমাবেশের কর্মসূচী পালিত হবে।

৪) ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে ঈদের ৭ দিন পূর্বে সকল ক্ষেত্রে বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠান।

৫) দাবিনামা নিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক অঞ্চলে এবং বিভিন্ন শ্রমিক জোট ও ফেডারেশনসমূহের সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজন।

৬) মে দিবসের সমাবেশ থেকে ধর্মঘটসহ আন্দোলনের সর্বাত্মক কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

জাতীয় কনভেনশনের ঘোষণা

২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের জাতীয় কনভেনশনের ঘোষণা-

বাংলাদেশের সকল সরকারি বেসরকারি, দেশীয় ও বিদেশী মালিকানাধীন, প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাত কোটি শ্রমজীবীদের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় ভিত্তিক প্রধান শ্রমিক সংগঠনসমূহের জোট শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ – স্কপ এর পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।

আপনারা দেখছেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশের সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাথে যুক্ত হয়ে আছে বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের শ্রম। কিন্তু দেশে ও বিদেশে কর্মরত শ্রমিকের শ্রমে ঘামে দেশের উন্নয়ন হলেও তারা বঞ্চিত তাদের অধিকার ও মর্যাদা থেকে। ফলে বঞ্চনা থেকে মুক্তির আশায় তারা বারবার নেমে আসে আন্দোলনের পথে। সে কারনেই এ যাবতকালে সংগঠিত প্রতিটি গণআন্দোলনে সামনের কাতারে থেকেছে শ্রমিক শ্রেণী। তারা জীবন দিয়েছে, নির্যাতন ভোগ করেছে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় সকল খাতের শ্রমিকদের বিপুল অংশগ্রহনে আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হলেও শেষ পর্যন্ত বঞ্চিত থাকে শ্রমজীবীরাই।

সে কারনেই জাতীয় ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণে স্থায়ী মজুরী কমিশন গঠন, শ্রম আইনের অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করে আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর আলোকে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ, কর্মক্ষেত্রে নিহত হলে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, আহতদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা, পুনর্বাসন, সুলভমুল্যে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা, শ্রমিকদের আবাসন, চিকিৎসা, পেনশন এর মত ন্যূনতম দাবিতে শ্রমিকদের এখনও আন্দোলন করতে হচ্ছে।

ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতা বলে শ্রমিক কর্মচারী তথা শ্রমজীবী মানুষের জীবনটাই সংগ্রামের। তারা দেশী বিদেশী শোষণের হাত থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করা ছাড়া কখনই কোনো অধিকার আদায় করতে পারেনি। বর্তমানেও কখনো চাকুরি রক্ষা, কখনো বকেয়া মজুরি, কখনো মজুরি বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকদের পথে নামতে হচ্ছে। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ স্কপ আজকের এই জাতীয় কনভেনশনের মধ্য দিয়ে সমন্বিত দাবী নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পটভূমি রচনা করতে চায়। দেশের সকল সেক্টরের দাবীর সমন্বিত রূপ হিসেবে এই কনভেনশন থেকে আমরা ঘোষণা করছি —

১) স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠন করে জীবন যাত্রার ব্যয় বিবেচনার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল খাতের জন্য মালিকানা নির্বিশেষে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। এর পাশাপাশি সকল খাত, অঞ্চল এবং পেশাভিত্তিক নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করতে হবে।

২) সকল শ্রমিককে শ্রম আইনের সুরক্ষা দিয়ে আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর আলোকে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দরকষাকষির অধিকারসহ গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে। শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমুহ বাতিল করতে হবে। ইপিজেড সহ সকল ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

৩) আন্দোলএবং কর্মরত আবস্থায় ৭ জন নৌযান শ্রমিকসহ সকল শ্রমিক হত্যার বিচার এবং নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। শ্রমিক অসন্তোষ দূর না করে ছাঁটাই, হয়রানি, মিথ্যা মামলা, অজ্ঞাতনামা আসামি করার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। শ্রমিক আন্দোলন ও শিল্প সম্পর্কের চর্চায় পুলিশের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

৪) কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আইএলও কনভেনশন ১৮৯, ১৯০ অনুসমর্থন করতে হবে। মজুরি ও মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ অধিকারের বৈষম্য দূর করতে হবে।

৫) পাটকল, চিনিকল সহ বন্ধ সকল কারখানা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালু এবং ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তরিত কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করতে হবে।

৬) দুর্ঘটনা, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে আইএলও কনভেনশন ১২১, ১৫৫ ও ১৮৭ অনুসমর্থন করে আইন প্রণয়ন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুতে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিধানসহ সকল শ্রমিকের জন্য কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বীমা চালু করতে হবে। অবহেলাজনিত দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মালিক ও সরকারি কর্মচারীদের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৭) সকল শ্রমিকের জন্য স্বাস্থ্য সেবা, রেশন, আবাসন, পেনশন, গ্রাচুইটি ও বেকার ভাতা চালু করতে হবে। নতুন শিল্পের প্রয়োজনে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

৮) সরকারি সকল খাতে আউট সোর্সিং এবং স্থায়ী কাজে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ৩য়, ৪র্থ শ্রেণীর পদে শ্রমিকদের স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ রাখা চলবে না। ঠিকাদার কর্তৃক শ্রমিক নিয়োগ এবং শ্রমিক শোষণের অমানবিক প্রথা বন্ধ করতে হবে। গৃহ শ্রমিক, গৃহ ভিত্তিক শ্রমিক, হালকা যানবাহন চালক, ব্যাটারিচালিত যানবাহন, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক গিগ ওয়ার্কার, পর্যটন ওয়ার্কার, পরিবহন হকারসহ সকল শ্রমজীবীদের শ্রম আইনে স্বীকৃতি দিতে হবে। প্রবাসী শ্রমিকদের অভিবাসন ব্যয় কমানো, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ প্রবাসে এবং দেশে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

৯) শ্রমিকের খাদ্য, স্বাস্থ্য, বার্ধ্যকে নিরাপত্তায় রেশন, হেলথ কার্ড, গ্রচ্যুয়টি পেনশনসহ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ৯ দফা মানতে হবে।

আজকের এই কনভেনশন থেকে আমরা ঘোষণা করছি যে, উপরোক্ত দাবীসমুহ নিয়ে শিল্প, কৃষি ও সেবা খাতে মতবিনিময় ও দাবিসমুহ চূড়ান্ত করার কাজ করবো। বিদ্যুৎ, পানি, ব্যাংক, বীমা, সড়ক পরিবহণ, নৌযান, বেসামরিক বিমান, চা, চাতাল, কৃষি খামার, মৎস্য, হোটেল, পর্যটন, গার্মেন্টস, চামড়া সহ সকল খাতের শ্রমিকদের আন্দোলনের সাধারণ দাবিসমুহ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ এবং শেষে বৃহত্তর শ্রমিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।

এই কনভেনশন থেকে আমাদের আহবান, আসুন আমরা একটি কার্যকর শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলি। শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা, ন্যায়সঙ্গত দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী চেতনাকে ঐক্যবদ্ধ ও শানিত করি। বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত আন্দোলন এবং বিভক্ত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে রূপ দিয়ে ন্যায়সঙ্গত দাবিসমুহ আদায় করি।