আওয়ামীলীগের এজেন্ডা পালন করে চলেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকসুদা


রুদ্রবাংলা প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৯, ২০২৪, ১৯:১৭ /
আওয়ামীলীগের এজেন্ডা পালন করে চলেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকসুদা

শামীম আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে আওয়ামীলীগের পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে কাজ করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকসুদা। তিনি অন্যায়ভাবে বিএনপি দলের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে মগ্ন হয়ে অবস্থান নিয়েছেন সেইরূপ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আওয়ামীলীগ কর্তৃক কমিটি করার জন্যে কাজ করেছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির (ময়মনসিংহ বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফুল আলম (সি.আই.পি) এর পিতা বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী মরহুম আলহাজ্ব মোঃ ছিদ্দিক মিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের বড় ছয়সূতি গ্রামে অবস্থিত জনতা আইডিয়াল হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার নিমিত্তে বিগত ২৬/০২/২০১৮ থেকে ৩০/০৪/২০২৪ ইং তারিখে কোন কারন ছাড়াই জেলা শিক্ষা অফিসার স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার প্রস্তাব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেন। তজ্জন্য বোর্ড তাঁকে সতর্ক করার পরও আজও চালিয়ে যাচ্ছেন তার অপ প্রচেষ্টা সদ্য উল্লেখ্য যে, আওয়ামী পুষ্ট চূড়ান্ত বরখাস্থকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলামকে সহায়তা করে বিদ্যালয়টির ক্ষতি সাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাল সনদের দায়ে চুড়ান্তবরখাস্থকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম কে জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকসুদা ও জেলা কৃষকলীগের ডেলিকেটর মোঃ নুরুজ্জামান সরকার এর অনৈতিক যোগসাজশে বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকে সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম মনগড়া নিয়ম দেখিয়ে স্থানীয় অভিভাবক ও স্থানীয় একাংশ লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম কে নিয়মিত স্কুল পাঠদানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে বলে অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম।

উক্ত ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বাদী হয়ে গত ১৩ আগস্ট ২০২৪ ইং কুলিয়ারচর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গোপন পাসওয়ার্ড হ্যাক করার অভিযোগে কুলিয়ারচর থানায় গত ১৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন ডায়রী নং-৩৮৪। এবং উক্ত সাধারণ ডায়রীসহ কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম স্ব শরীরে কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকসুদা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তাকে সতর্ক করে দেওয়ার পরেও জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকসুদা নানা তালবাহানা করে তার দায়িত্বের অপব্যাবহার করে আসছেন এবং বরখাস্থকৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলামের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তার পক্ষে বিধি বহির্ভূত ভাবে সহযোগিতা করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ম্যানেজিং কমিটি থাকা সত্তেও চুড়ান্ত বরখাস্থকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম এর এমপিওর বিধিবহির্ভূত আবেদনে সভাপতির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে স্বাক্ষর করেন জেলা শিক্ষা অফিসার। এতে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মোঃ শাহিনুর রহমান তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপ-পরিচালক (শিক্ষা), ময়মনসিংহ কে কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকসুদা বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানান। উক্ত বিষয়ে চুড়ান্ত বরখাস্থকৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন,জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার মাকসুদা আমাকে ফোন করে কিশোরগঞ্জ অফিসে ডেকে নিয়ে আমাকে পুনঃবহালের আহ্বান জানান এবং আমাকে স্কুল পাসওয়ার্ড দিয়ে সহযোগিতা করে আসছেন।

উক্ত ঘটনায় জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার মাকসুদা বিদ্যালয়ের গোপন পাসওয়ার্ডটি বরখাস্থকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলামকে দিয়েছেন মর্মে স্বীকার করেন। পুনঃবহাল অথবা পুনঃযোগদানের বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার এর কাছে জানতে চাইলে উক্ত বিষয়ে তিনি বলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম পুনঃবহাল বা পুনঃযোগদান করার বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদকে অবহিত করেছেন কিনা আমি জানিনা। উক্ত বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শাহিনুর রহমান বলেন, সিআইডি কর্তৃক তদন্তের প্রমানিত বিএড জাল সনদের দায়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম কে কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে প্রায় ১ মাস কারাভোগ করেছেন। পরে তাকে স্কুল থেকে চুড়ান্ত বরখাস্থ করা হয়েছে। পরবর্তীতে শূন্য পদে সরকারি বিধিমোতাবেক নতুন প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাসেমকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাই সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলামকে পুনঃবহালের কোনো সুযোগ নেই এবং প্রশ্নেই উঠে না। নতুন প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নানা ধরনের অফিসিয়ালী অসহযোগিতা করে আসছেন জেলা শিক্ষা অফিসার এবং আর্থিক প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে চুড়ান্ত বরখাস্থকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলামকে সহযোগিতা করে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। উক্ত বিষয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।