ফকিরহাটের মৌভোগে গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ


রুদ্রবাংলা প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৪, ২৩:৩০ /
ফকিরহাটের মৌভোগে গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে তাসলিমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার ভোরে উপজেলার মৌভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী পিতার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, তাসলিমা খাতুন এর সহিত আহম্মদ আলী গোলদার (৩২), পিতা- -আব্দুল হাই, সাং- মৌভোগ, থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাট এর সাথে ০৬ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পরে তাহাদের সংসারে ছাব্বির গোলদার (০৪) নামে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তাসলিমার স্বামী ঢাকায় একটি কম্পানীতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করে বলে জানাযায়। অথচ বারবার সংবাদ দিলেও স্ত্রী তাসলিমাকে শেষ দেখা দেখতে আসেনি।

নিহতের পিতা বলেন- আমার কন্যা তাহার ছেলেকে নিয়ে তার স্বামীর বসত বাড়ীতে থাকতেন। গত ১৮/০২/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ০৩০০ ঘটিকার সময় তআজলইমআর শশুর আব্দুল হাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান যে, “আপনার কন্যা গলায় ফাঁস লাগাইয়া আত্মহত্যা করেছে”। আমি তাৎক্ষনিক আমার স্ত্রী ছেলে, ভাইপো, ভাবিসহ আরও লোকজনদের নিয়ে আমার চলে আসি। আসিয়া জানতে পারি যে, গত ইং-১৭/০২/২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ০৯০০ ঘটিকার সময় আমার কন্যা রাত্রের খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমানোর জন্য যায়। রাত ০২৩০ ঘটিকার সময় আমার নাতি ছাব্বির গোলদার (০৪) চিল্লা-চিল্লি ও কান্না-কাটি করিলে আব্দুল হাই আমার মেয়ের শয়ন কক্ষে যাইয়া দেখতে পায় যে, আমার কন্যার ব্যবহৃত ওড়না দ্বারা ঘরের আড়ার সহিত গলায় ফাঁস লাগাইয়া ঝুলিতেছে। তখন ডাক চিৎকার করিলে আশপাশের লোকজন আসিয়া আমার মেয়ের গলার ফাঁস খুলিয়া নিচে নামায় এবং তাহাকে মৃত অবস্থায় দেখিতে পায়।

এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, বিবাহের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন কারণে অকারণে তাসলিমার উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছিল। খুব সহজ সরল এবং ভালো মনের মানুষ ছিল তাহলিমা ।
এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গ্রামে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।