চায়ের দোকান দিয়ে ফেরদৌসীর ভাগ্যবদল


রুদ্রবাংলা প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ২২:২৮ /
চায়ের দোকান দিয়ে ফেরদৌসীর ভাগ্যবদল

বিশেষ প্রতিনিধিঃ কৃষক বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে না পেরে বাবার সঙ্গে কাজ শুরু করেন।

বাবা-মেয়ে মিলে নিজের কাজের সঙ্গে অন্যের কাজ করে কিছু টাকা আয়-রোজগার করে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় রইচনগরে একটি চায়ের দোকান দেন। ভালো মানের চা বিক্রি করেন তিনি। তার চায়ের সুনাম রয়েছে কদমতলী থানাজুড়ে। জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তার চায়ে এক চুমুক দিতে ছুটে যান তার সেই দোকানে। এই চায়ের দোকানে এখন বদলে গেছে তার ভাগ্য।  

বলছিলাম ঢাকার কদমতলী থানার রইচনগরের কৃষক মোঃ মফিজুর ইসলামের মেয়ে ফেরদৌসীর কথা। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে ফেরদৌসী ছিলেন দ্বিতীয়। বাবার পরেই পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য তিনি। তার দোকানে উন্নত মানের দুধ চা ও রঙ চা বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ৩০০ কাপ দুধ ও রং চা বিক্রি করতে পারেন। সবমিলিয়ে দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার চা বিক্রি করতে পারেন তিনি।ফেরদৌসী আরও বলেন, এই চা খাওয়ার জন্য শহর থেকে লোকজন এসে চা খেয়ে যান। অনেকটা চায়ের দোকানে ভাগ্য বদল হয়েছে তার।

 চা কীভাবে বানানো শিখলেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আব্বা যে দোকানে চা করতেন, সেই দোকানে চা বানানো হতো। প্রায় সময় নিজের ইচ্ছা থেকে চা বানানোর কাজ শেখেন। প্রায় সময় দোকানে বাবার সাথে চা বানিয়ে দিতে হতো। এ থেকে তার এই চা বানানো শেখা।শহর থেকে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রায় সময় আমরা এখানে চা খাওয়ার জন্য আসি। খাটি গরুর দুধ দিয়ে তৈরি করেন চা। খুব ভালো লাগে। শুধু তিনি নয় তার চা খাওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন।